মাওলানা নাজিমউদ্দিন
তাহলে এর দ্বারা এ কথা প্রমান করে ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর সময় যেহেতু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তার হাতে আসেনি কাজেই তিনি (ইমাম হোসাইন) দ্বীনদার হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হননি (নাউজুবিল্লাহ), এছাড়া অধিক্ংশ নবীগনই তো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভ করতে পারেন নি। তবে কি তাদের কেউই দ্বীনদার ছিলেন না? এই গোমরাহী তাকে পাওয়ার এক মাত্র কারন হলো, কোরআনের কোন আয়াতে ‘দ্বীন’ শব্দকে কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে এই ব্যাপারে তিনি ছিলেন নিরেট মূর্খ।
কারন তিনি দুনিয়ার কোন শিক্ষকের কাছে কোরআন শিখতে রাজি ছিলেন না।
তিনি পরিস্কার ভাষায় তাফহীমুল কোরআনের ভূমিকায় লিখেছেন, তিনি নিজে নিজে কোনআন পড়েছেন, আর মনে মনে যা বুঝেছেন তাই লিখেছেন (নাউজুবিল্লাহ) তিনি এই কোনআনের তাফসীর করার জন্য পূর্ববতী ও পরবর্তী মুফাসসিরগনের অনুকরন করেননি।
উসুলে তাফসিরের কিতাবে বর্ণিত আছে-তাফসির করার জন্য ছয়টি উসুল বা সংজ্ঞা আছে-এই ছয় সংজ্ঞার বাহিরে যাদের তাফসির পাবেন সব মন গড়া। রাসুল (সাঃ) পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন- যে ব্যক্তি কোরআনের মন গড়া তাফসীর করবে সে জাহান্নামে যাওয়ার জন্য এই একটা পাপই যথেষ্ট আর কোন পাপের দরকার নেই। ’
কোরআনের সহীহ তাফসীরের ছয় উসুল বা সংজ্ঞা যথাক্রমে নিম্নরূপঃ
(১) পবিত্র কোরআনের তাফসীর কোরআনেরই ভিন্ন আয়াত দ্বারা।
(২) পবিত্র কোরআনের তাফসীর মহানবী (সাঃ) এর হাদিস দ্বারা।
(৩) পবিত্র কোরআনের তাফসীর সাহাবীগনের জীবনী দ্বারা।
(৪) পবিত্র কোরআনের তাফসীর তাবেঈনের বিবরণ দ্বারা।
(৫) পবিত্র কোরআনের তাফসীর মুজতাহিদগনের বিশ্লেষণ দ্বারা।
(৬) পবিত্র কোরআনের তাফসীর মানবীয় ক্ষমতাধীন আরবি ব্যাকরণ দ্বারা।
সূত্রঃতাফসীরে মা’রিফুল কোরআনের ভূমিকা:
এই ছয় সংজ্ঞার মধ্যে ৩-৪-৫ নং হলো সহী তাফসীর শিখার ঠিকানা।
মওদুদী সাহেব বলেন, আমি উহাদের কারো কাছ থেকে কোরআনের তাফসীর শিখিনি। বরং নিজে নিজেই পড়েছি, আর মনে মনে বুঝেছি, এভাবে যা বুঝেছি তাই লিখেছি (নাউজুবিল্লাহ)।
আল্লামা জালাল উদ্দীন সুয়ুতি (রঃ) ‘আল ইতকানু ফি উলুমিল কোরআন’ গ্রন্থে লিখেছেন, পাঁচ প্রকার মানুষের তাফসীর মনগড়া। এই পাঁচ প্রকারের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে তারা, যারা তাফসীরের মূলনীতি বিবর্জিত। যেমন- পূর্ববর্তী ব্যাখ্যাকারদের অনুকরণ অনুসরণ না করে নিজে নিজে পড়ে আর মনে মনে বুঝে। ( চলমান--)