- কাজী জিয়া উদ্দিন
শৈশব কৈশোর পেরিয়ে গেলো,
যৌবনেও আসছে ভাটি
আরো যদি বেঁচেই থাকি
ধরতে হবে শক্ত লাঠি,
কোথাই পাবো জিয়ন কাঠি
যৌবন সোনার পাথর বাটি।
বুঝিনি জীবনের আ-কার ই-কার কিংবা উ-কার
জীবন ছিল আপন মনের অদ্ভুত এক বিকার ,
অনপনেয় গ্লানিগুলোর এক নিন্দিত বিন্যাস
শূণ্য আর শূণ্যের এক কাব্যিক উপন্যাস ।
চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষে
আসছে সাঁঝের বেলা
কখন প্রভূ ডাকবে আমায়
আর নয়তো হেলা।
তুমিই প্রভূ, তুমিই সবি, তুমি বরাভয়
দূর করে দাও, বুকে যতো জমাট বাঁধা ভয়।
হেহাদী, হে প্রভূ, হে দয়াময়-
আমার রিপু আমি যেন করতে পারি জয়।
নিশুত রাতে, স্বপ্নে সেদিন
কে যেন বলছে বারে বারে
নিখুঁত বুননে স্বপ্নগুলো
নিয়ে চলো এপার ছেড়ে ওপারে।
প্রভূ তোমার নিপুণ শৈলী অবারিত-অফুরান
ফাবি আইয়ি আলা ইরাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান।
হাজবুন আল্লাহি ওয়া নেওমাল অকিল,
নেওমাল মাওলা ওয়া নেওমান নাসির,
প্রভূ আমার, স্রষ্টা আমার, নিবিড় সিজদায় বলি ,
করো আমায় ধীর- প্রশান্ত, গড়ো তোমার অলি।
হে মহান, হে মহীয়ান, হে আমার রব
যবে দিবে ডাক, প্রস্তুত আমি, ছেড়ে যেতে এই ভব।
এরি মাঝে প্রভূ ছেড়ে চলে গেলো অনেক অনুজ প্রতীম
তাদের তুমি কামিয়াবি করো হে রহমান, হে রহীম।
প্রথম ভরসা তুমি, শেষ ভরসাও তুমি
তুমিই আহাদ তুমিই সামাদ,
তুমি আমায় উপহার দাও
প্রশান্তিময় মৃত্যুর আস্বাদ।
ইয়া হাইউ, ইয়া কাইয়ুম, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম,
মৃত্যু ফেরেশতা যেনো স্মিত হাস্যে, নেয় মোর অন্তিম সালাম,
মৃত্যুক্ষণে যেনো পড়তে পারি কালিমা আর মহিমাময় কালাম।
ইয়া রাব্বি, ইয়া রহমান, হে দয়াময়
আমার মরণ তাহাজ্জুদের সিজদায় যেন হয়।
কবরটি মোর করো তুমি প্রভূ, প্রোজ্জ্বল আলোকিত
কবরেও প্রভূ আমি যেন থাকি চির সিজদায় রত।
হে মহান প্রভূ, করো মোরে নির্ভয়, করো মোরে নির্ভার
বিচার দিনের অগ্নি দিবসে, দাও মোরে কাউছার।
-------------------------------------------------------
কাজী জিয়া উদ্দিন, অতিরিক্ত ডিআইজি