আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার, ০২:০৯ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ০৪ মে, ২০২৩   |   sonalisandwip.com
সালাউদ্দিন

আবু নাঈম সোহাগের দূর্নীতি কান্ডে এমনিতেই টালমাটাল অবস্থা চলছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে)। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে যেন খাল কেটে কুমির এনেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

বাফুফে সভাপতির আপত্তিকর মন্তব্যের জের ধরে রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংস্থাদুটি সালাউদ্দিনের পদত্যাগও দাবি করেছে।

মঙ্গলবার (২ মে) বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে দেশের সাংবাদিক সমাজ। ইতোমধ্যে দেশের ক্রীড়া লেখক ও সাংবাদিকদের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন ক্রীড়া লেখক সমিতি (বিএসপিএ) সালাউদ্দিনের সম্মানসূচক সদস্যপদ বাতিল করেছে। এরপর ডিআরইউ'র পক্ষ থেকে সালাউদ্দিনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও তার পদত্যাগ চেয়ে দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বাফুফে’র সভাপতির মতো শীর্ষ পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, তাদের পরিবারকে জড়িয়ে এই বক্তব্য দেওয়ার পর বাফুফে সভাপতির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষ আজ সন্দিহান হয়ে পড়ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাফুফে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে। যার সাম্প্রতিক প্রমাণ ফিফার নিষেধাজ্ঞা। বিভিন্ন সময় এসব খবর প্রকাশ হওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার সর্বশেষ মন্তব্যে। দেশে ও দেশের বাইরে ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পর সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে মনে করে ডিআরইউ।

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করা অন্যতম সংগঠন ডিইউজের পক্ষ থেকে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের প্রেরিত এক বিবৃতিতে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। সাংবাদিকদের পারিবারিক পরিচয় নিয়ে সরকারের একটি সংস্থার সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন যে মন্তব্য করেছেন তা কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন। এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থান নিয়ে উপহাস করেছেন। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এদিকে, সালাউদ্দিনের বক্তব্যের পর তার পদত্যাগ দাবি করেছে দেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দেশের ফুটবল সংস্থার শীর্ষ পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, তাদের পরিবারকে জড়িয়ে এ বক্তব্য দেয়ার পর বাফুফে সভাপতির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেশবাসী সন্দিহান হয়ে পড়েছে। কাজী সালাউদ্দিন দায়িত্ব পালনকালে দেশের এই খেলার মান প্রতিনিয়ত নিম্নগামী। র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় সবার নিচে।'