আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শুক্রবার, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩   |   sonalisandwip.com
--

ভারতের কর্নাটক রাজ্যের যে প্রার্থীদের দিকে অনেকের নজর ছিল তাদের মধ্যে কানিজ ফাতিমা অন্যতম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম মেয়েদের হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ফাতিমা। গুলবার্গ উত্তর নির্বাচনী কেন্দ্রে তাকেই প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস।

তিনিই ছিলেন কংগ্রেসের একমাত্র মুসলিম মহিলা প্রার্থী। জয়ী হয়ে ফের একবার আলোচনায় এলেন ফাতিমা। গত বছর বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে গুলবার্গায় বিশাল বিক্ষোভ হয়, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কানিজ ফাতিমা। ২০২০-এ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে নারীদের বিক্ষোভেরও অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। কর্নাটকে সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে রাষ্ট্র পরিচালিত কলেজগুলোতে মুসলিম মেয়েদের হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

তখন ব্যাপক লড়াই করেছিলেন কংগ্রেসের এই নেত্রী।বিজেপির প্রার্থী চন্দ্রকান্ত বি পাতিলকে পরাজিত করেছেন ফাতিমা। তবে এবার প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৮-এ এই লিঙ্গায়েত নেতাকে ৬০০০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন তিনি। কানিজ ফাতিমা একজন সমাজ কর্মী। নারী অধিকার, বিশেষ করে মুসলিম মেয়েদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি লড়াই করছেন। ২০১৮-এর কিছু দিন আগে ফাতিমা ভোট ময়দানে নামেন। তার স্বামী কামারুল ইসলাম ছিলেন মন্ত্রী এবং ছয়বারের বিধায়ক। তার মৃত্যুর পর ফাতিমা নির্বাচনী ময়দানে নামেন।

ফাতিমা মনে করেন, হিজাব মেয়েদের অধিকার। তিনি বলেন, স্বাধীন ভারতে কাউকে পোশাক দেখে বিচার করা যায় না। হিজাবের জন্য মেয়েদের কলেজে আসা বন্ধে করে দেয়া যায় না। ফাতিমা স্পষ্ট বলেছিলেন, ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদীদের উস্কানি দিয়েছিল বিজেপি।