আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার প্রার্থী হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পর অনেকে তাদের ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়েছে। কেউ কেউ ফেসবুক স্টেটাস দিয়ে আমার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পৌরসভা তেজবাগের গো স্কুলের পাশের মেহেরাজ নামে এক শুভাকাঙ্খী আমাকে নিয়ে কিছুদিন আগে তার ফেসবুক ওয়ালে স্টেটাস দেয়। এতে এক দুবৃত্ত তাকে হাত কেটে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ফলে স্টেটাসটি রিমোভ করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে যা আমার বিবেককে প্রতিনিয়তই নাড়া দিচ্ছে। সেই দুবৃত্তের, নাম "রুবেল"। স্থানিয় বোরহান বাবুর্চির ছেলে।
গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ তার নাগরিকত্বের অধিকার থেকে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে।এটা যেকোন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এতে দোষের কি আমার বোঝে আসে না?
নিজের মত প্রকাশ করার পর যখন অন্যের মাধ্যমে হুমকি আসে তখন সেটা অস্তিত্বে আঘাত আসে। কে বা কারা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন সেটা আমার বুঝতে বাকি নেই। তবে মনে রাখবেন নির্বাচন সামনে। এর মধ্যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় অনেক জল গড়াবে। হুমকি ধামকি দিয়ে মানুষের ভালোবাসার জায়গা থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। আমি আছি, থাকবো। শেষ পর্যন্ত লড়বো। আমি মুক্তিযোদ্ধা, সাহসে-শক্তিতে এতটুকুন দুর্বল নই। তাদের স্মরনে থাকা উচিৎ আমি নব্য আওয়ামীলীগার না, ছাত্রজীবন হইতে বহু খড় কাট পুড়িয়ে তৃণমুল থেকে উঠে আসা আওয়ামীলীগার।এই দুবৃত্তের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের বলছি, অযথা জল গোলা না করে তাকে শাসনের আওতায় আনুন। কোন মাদকসেবী কিংবা ইন্ধনদাতার ভয়ে তটস্থ হওয়ার মতো মানুষ আমি নই।
সকল ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে আসুন সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি মাদকমুক্ত মানবিক সমৃদ্ধ সন্দ্বীপ গড়ে তুলি। সবাই ভালো থাকবেন। এর আগের পোষ্টের ধারাবাহিকতায় লেখা।
শুভেচ্ছান্তে-
হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী।