আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
সোমবার, ০৬ আগস্ট, ২০১৮   |   sonalisandwip.com
সন্দ্বীপের মানুষ কি বাঙালীর মানচিত্র বাংলাদেশের জনগন নয়!

# লিও এস এম তৈহিদুর রহমান রিয়াদ #

নৌ দূর্ঘটনা চট্টগ্রাম জেলা সন্দ্বীপে এতগুলো প্রান গিয়েছিলো রাষ্ট্র কোন সমবেদনা দেখালো না। পায়েল কে হানিফ এন্টার প্রাইজ কর্তৃক মুখোসধারী সন্ত্রাসী ড্রাইভার, হেলপার হত্যা করলো রাষ্ট্র সমবেদনা দূরের কথা এত গুলো মানুষের ন্যার্য প্রতিবাদ, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করলো আমাদের কে মানুষ বলে মূল্যয়ন করলো না। বিষয়টি চট্টলাবাসীর জন্য অতি দুঃখজনক।

এই সন্দ্বীপের মানুষ কি বাঙালীর মানচিত্র বাংলাদেশের জনগন নয়! একটি কথা আমাদের পরিচয় আমরা সন্দ্বীপী। সন্দ্বীপের স্বার্থে ও রাষ্ট্রের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষ ঐক্য হয়ে কাজ করতে পারি। আর যখন সন্দ্বীপীরা গর্জে উঠবে আন্দোলন কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না

আমরা নাগরিক সুবাধাবিহীনের ভিতরে থেকেও দেশের স্বার্থে দিতে পারি রক্ত। সে প্রমান করেন ৭১ এর দামালরা। স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সকল দামালরা প্রান দিয়েছিলো বলে,তাদের নামগুলো চ্ট্টলার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে রক্তাক্ত ইতিহাস হয়ে চট্টগ্রামে জেলাপ্রশাসক সামনে স্বরন করিয়ে দিচ্ছে।

এবং যারা বাংলাদেশ কে গৌরব ও সন্মানের স্থান দিয়েছেন,কমরেড মুজফ্ফর আহমদ - ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।বেলাল মোহাম্মদ - স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান উদ্যোক্তা, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমী পুরষ্কার প্রাপ্ত। আবদুল হাকিম - সপ্তদশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি।রাজকুমার চক্রবর্তী - ভাষাসৈনিক, মীননাথ - চর্যাপদ রচয়িতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।আবু তোরাব চৌধুরী - ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।লালমোহন সেন -চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের একজন বিপ্লবী নেতা।আফলাতুন - শিশুসাহিত্যিক ছিলেন।অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় - চিত্রশিল্পী ছিলেন।তাদের কি কোন অবদান ছিলো না এই রাষ্ট্রে।

এরা কি সন্দ্বীপের সন্তান নয়! যদি এই রাষ্ট্র সন্দ্বীপের সন্তান বলে মনে করে, তাহলে বাঙালী হিসেবে আমরা কেনও নাগরিক সুবিধা থেকে ৪৭ বছর বঞ্চিত হচ্ছি।

কেনও রাষ্ট্র সন্দ্বীপীদের সুখে দুখে থাকতে বিরক্তবোধ করে।সন্দ্বীপীরা কি এই বাংলার মানচিত্র গড়তে ভাষা আন্দোলন,স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন ভূমিকা রাখে নি।

যদিও সরকার রাষ্ট্র পরিচালরা ব্যাতিব্যাস্থ হয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাস্থতার ফলে ভূলে যাই। কিন্তু ৭১ এর স্বাধীন রাষ্ট্রে স্বাধীনতার ইতিহাসে স্বাধীনতা ঘোষনা স্থানটি'র প্রতিষ্ঠাতা কিন্তু সন্দ্বীপের সন্তান বেলাল বেগ,সহ আবুল কাসেম সন্দ্বীপী প্রমুখরা।যাদের কারনে স্বাধীনতা আন্দোলন সফল হয়।স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম হয়।

এই সন্মান টুকুর স্বার্থে সরকার সন্দ্বীপ কে বাংলাদেশের মানুষ বলে নাগরিক সুবিধাগুলো দেন।আমরা ৪৭ বছর নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত।।
যদিও সাম্প্রতিক সন্দ্বীপে কয়েকটি উন্নয়নের কাজ হচ্ছে । তবে তাহা বর্তমানে জনগন সুবিধা নেওয়ার পরিস্থিতি আজও হয় নি।৭১ এর পর থেকে যাহা তুলনামুলক ভাবে আমরা বঞ্চিত।

আমাদের কে নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ভিক্ষার থালাটি খালি হাতে আর ফেরত দিবেন না।আমাদের কে নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ভিক্ষা দেন।পায়েল হত্যার বিচার করুন।সে সাথে সন্দ্বীপে উন্নয়নে রাষ্ট্র কাজ করুন।

আমরা বেঁচে থাকতে চাই নিরাপদ নৌ-চলাচল চাই, নিরাপদ সড়ক চাই, নাগরিক সুবিধা চাই।একটু রাষ্ট্রের সহানুভূতি চাই।।