আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮   |   sonalisandwip.com
শহীদ বেলায়েত হোসেন বীর উত্তমের কবর জেয়ারত করলেন এলাকাবাসী

‘‘শহীদ বেলায়েত বীর উত্তম গাছুয়া সন্দ্বীপ চ্ট্টগ্রাম 
আজ আমরা উনার (কবর জিয়ারত করি) একমাত্র বড় ছেলে মোঃ বেলাল উদ্দীন সহ নিজ বাড়ি(দাদন বাড়ি) অনেকেই একত্রিত হয়ে কুমিল্লা কসবা থানা ঔতিহাসিক কোল্লাপাথর শহীদ সমাধীস্থল -১৯৭১ ওই স্থানে উনি শহীদ হন (১১ই নভেম্বর ১৯৭১) পাকবাহিনি দের সাথে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্বে। যুদ্বের সময় ও স্থানে উনার সাহসীকতা এবং বিরুত্বের কথা শুনে পুরো দিন কাটালাম। বীর মুক্তিযোদ্বা এম,এ করিম চাচার মুখে সহ অনেকের মুখে শুনার অনুরুদ থাকল। চট্টগ্রাম জেলার ৩ জন শহীদ বীর উত্তম প্রথিক প্রাপ্তি দের মধ্য ১জন (শহীদ বেলায়েত বীর উত্তম)’’ - সাহাব উদ্দিন সুমন ।

কুমিল্লা কসবা থানার ঐতিহাসিক কোল্লাপাথর শহীদ সমাধীস্থলে সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নের কৃতি সন্তান শহীদ বেলায়েত বীর উত্তমের কবর জেয়ারত করেছেন এলাকার কয়েকজন।

 

Belayet Hossain.Bir Uttom.jpg
   

বেলায়েত হোসেন (জন্ম: - মৃত্যু: নভেম্বর ১৪১৯৭১বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে।  [

জন্ম ও শিক্ষাজীবন : শহীদ বেলায়েত হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মাজেদ মিয়া ও মায়ের বিবি মরিয়ম। তাঁর স্ত্রীর নাম তফসিলা বেগম। তাঁর এক ছেলে, এক মেয়ে।

 

কর্মজীবন : বেলায়েত হোসেন চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ১৯৭১ সালে এই রেজিমেন্টের অবস্থান ছিল কুমিল্লা সেনানিবাসে। মার্চ মাসের শুরু থেকে তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিদ্রোহ করে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের সালদা নদী সাব-সেক্টরে।

 

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা : ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার অন্তর্গত সালদা নদীর বেশির ভাগা এলাকা দখল করে নেন। এর আগে ১২ নভেম্বর রাতে ২ নম্বর সেক্টরের সালদা নদী সাব-সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানে আক্রমণ চালান। ১৪ নভেম্বর তখন বেলা একটার মতো হবে। পাকিস্তানি সেনাদের একটি শক্তিশালী দল সালদা নদী পুনর্দখলের জন্য মনোয়ারা গ্রামের পশ্চিম দিকে গোডাউন এলাকা হয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। ওই এলাকায় বেলায়েত হোসেন ছিলেন তাঁর দল নিয়ে। অগ্রসরমাণ পাকিস্তানি সেনাদের ওপর তিনি আক্রমণ চালান। প্রচণ্ড আক্রমণে পাকিস্তানি সেনারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর তারা পালাতে থাকে। তখন বেলায়েত হোসেন সহযোদ্ধাদের নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন। এ যুদ্ধে কয়েকটি দলের মধ্যে একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। যুদ্ধে তিনি অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। তুমুল যুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যেতে থাকল। বেলায়েত হোসেন সহযোদ্ধাদের নিয়ে তাদের ধাওয়া করলেন। ভীতসন্ত্রস্ত সেনারা তখন পেছন ফিরে গুলি করতে করতে পিছিয়ে যেতে শুরু করল। বেলায়েত হোসেন দমে গেলেন না। তাঁর ইচ্ছা দু-একজন শত্রু সেনাকে জীবিত ধরার। সাহস ও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এগোতে থাকলেন। কিন্তু তাঁর আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হলো না। শত্রু সেনাদের ছোড়া একটি গুলি এসে লাগল তাঁর মাথায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। কিছুক্ষণ পর নিভে গেল তাঁর জীবনপ্রদীপ।

পুরস্কার ও সম্মাননা : বীর উত্তম