আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শনিবার, ০৩ নভেম্বর, ২০১৮   |   sonalisandwip.com
প্রণয় প্রবন কবি 'আসাদ মান্নান'র জন্মদিনে

[আজ প্রণয় প্রবন কবি 'আসাদ মান্নান'র জন্মদিন]

:: সবুজ আনোয়ার ::

শুদ্ধ আত্মিক চেতনায় শৈল্পিক শৌর্যে মহীয়ান এক কবির নাম আসাদ মান্নান। তিনি ৩ নভেম্বর ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলাধীন সাতঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা আসাদ উল হক,মাতা ফয়েজা খাতুন।

আসাদ মান্নানের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে সমুদ্রের নোনা জলে বেষ্টিত নিরবচ্ছিন্ন দ্বীপ- সন্দ্বীপে। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়া শেষ করে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ অনার্স সহ এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন।

কিছুদিন সংবাদকর্মী, এরপর দু'বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৮৬সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন।

প্রকৃতির অকৃপণ নির্মলতার দোলায় ভেসে কবি মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় মাতৃভুমিকে ভালবাসার প্রথম পাঠ নিয়েছিলেন তারই নিকটাত্মীয়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর প্রথম কন্ঠসৈনিক প্রয়াত আবুল কাসেম সন্দ্বীপি'র কাছ থেকে।

ব্যক্তিগতজীবনে দুই মেধাবী পুত্র কন্যার জনক এই কবির প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়-সৈয়দ বংশের ফুল,সুন্দর দক্ষিণে থাকে,তুমি মৃত অজগর কোথায় পালাবে,দ্বিতীয় জন্মের দিকে,ভালবাসা আগুনের নদী,তোমার কীর্তন।এছাড়াও নির্বাচিত কবিতা,যে পারে পার নেই সে পারে ফিরবে নদী,প্রেমের কবিতা,হে অন্ধ জলের রাজা,মরু ভুমি স্বপ্ন দেখে জল' তুমুল সাড়া ফেলে কবিপ্লাবিত বাংলা কবিতার ভুবণে।

আসাদ মান্নান বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদে কর্মপরিপালনের পাশাপাশি কবিতার অভঙ্গ অনুশীলনে নিহিত রেখেছেন নিজেকে।

স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৭ ও ১৯৭৮ সালে তরুণ কবি হিসেবে দু'বার 'বাংলাদেশ পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার','১৯৭৯ সালে কর্ণফুলি সাহিত্য পদক,ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদ সম্মাননা এবং ২০০৭সালে জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার পেয়েছেন।রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ পদক্ষেপ ও সম্মাননা,অনুপ্রাশ কবিতা পদক,কুঞ্চচ পদক ও কবিতা পদক ছাড়াও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আসাদ মান্নান।

পরম কৃতার্থতায় কবিকে শুভেচ্ছা জানাই, জীবনে এই দিনটি ফিরে আসুক আরো শতবার এই কামনা অবশেষে।