আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার, ১১:৫০ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮   |   sonalisandwip.com
কলকাতা থেকে ঢাকা, সন্দ্বীপীদের কর্মক্ষেত্র : এস এম জাকিকরল আলম মেহেদী

। । . এস এম জাকিকরল আলম মেহেদী । ।

............................................................

কোন এক সময় ১৯১১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ছিল কলিকাতা। কলিকাতা সমুদ্র বন্দর হওয়ায় আভ্যন্তরীন জাহাজ কোম্পানি গুলোর প্রধান কার্যালয় ছিল কলিকাতা নগরী। দেশী বিদেশী জাহাজ গুলো ভিড়ত কলিকাত বন্দরে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সন্দ্বীপ যেমন চ্যাম্পিয়ন ঠিক তখনি সন্দ্বীপের মানুষের কৃষির পরে পেশা ছিল দেশী,বিদেশী জাহাজে সেরাং,সুকানী,খালাসি,পদে চাকুরী,তাই সব সময় কলিকাতার চাকুরীর বাজারে সন্দ্বীপের এক চেটিয়া প্রাধান্য ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর কলিকাতা সন্দ্বীপী দের কাছে গুরুত্ব হীন হয়ে গেল ক্রমে জাহাজের চাকুরীর বাজার হারিয়ে সন্দ্বীপীরা বাপ দাদা র পেশায় ফিরে যেতে লাগল।

 

ব্রিটিশ শাসনের প্রথম থেকেই কলকাতা শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রধান নগরীতে পরিনত হল।কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হল,কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হল।সন্দ্বীপের ধর্মপ্রান মুসলমান গন তাদের সন্তানদের ধর্মীয় উচ্ছ শিক্ষা গ্রহন করার জন্য কলিকাতা প্রেরন করতেন।ইহা ছাড়া উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসা আছে যা উপমহাদেশের বিখ্যাত কওমী মাদ্রাসা সেখানেও সন্দ্বীপের প্রখ্যাত আলেম গন দ্বীন শিক্ষা গ্রহন করতেন।

 

দেশ বিভাগের আগ পর্যন্ত সন্দ্বীপের ছাত্ররা শিক্ষার জন্য নোয়াখালী,চট্টগ্রাম,কলিকাতা কে বেচে নিত,তবে ঢাকার প্রতি তেমন কোন উৎসাহ বা আগ্রহ ছিলনা।ত্রিশের মাঝা মাঝিতে কমরেড মোজাফফর আহম্মেদের ভাই পো আব্দুল মোক্তাদীর আহম্মেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এস সি পাশ করে ঢাকা টিচার্স ট্টেনিং কলেজে লেকচারার পদে চাকুরী নেন।আর তেমন কেউ সন্দ্বীপের কেউ ছিলনা।তবে অন্য সুত্রে জানা যায় ১৯৪৩ সালে ঢাকা আর্মানিটোলা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন সন্দ্বীপের ই সন্তান। এর কিছু দিন পর পাকিস্থান আন্দোলন শুরু হলে ক্রমে ক্রৃেম সন্দ্নীপের মানুষ ঢাকাতে বৃদ্ধি পায়।

ইহা ছাড়া জেলার কাজী আব্দুল আউয়াল সাহেবের নাম ও হারামিয়া ইউনিয়নের ইদ্রিস মিয়া নামের এক ভদ্রলোক ঢাকাতে গ্রেজেটেড অফিসার পদে চাকুরী করতেন।

 

১৯৪৩-৪৪ সালে এডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন সাহেব রা ছাত্র থাকা অবস্থায় সন্দ্বীপের ঢাকাস্থ ছাত্রদের কে নিয়ে সন্দ্বীপ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন গঠন করেন।সেখানে নেতৃত্বে ছিলেন,জ্বনাব মোজাম্মেল হোসেন সাহে,রিদুয়ানুল বারী সাহেব,এমএসসি সুলতান সাহেন।

 

সৈয়দ সামছুল হক এডভোকেট আব্দুল মজিদ সাহেবের ছোট ভাই যখন আদমজী জুট মিলের প্রধান প্রকৌশলী পদে যোগ দেন তখন থেকে তিনি প্রায় পুরো মিল কে সন্দ্বীপী করন করেন।হাজার হাজার সন্দ্বীপের মানুষ কে ঢাকায় এনে চাকুরী দেন।আমরা যারা নতুন প্রজন্ম তারা কেউ এসব ইতিহাস কি জানি?

 

লেখক : সাবেক শিক্ষক ও পরিচালক, হালিশহর মহিলা কলেজ।