আজ সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪   |   sonalisandwip.com
--

আবিষ্কৃত হলো ‘বিস্ময়কর’ একটি ওষুধ, ক্যানসারের এক আক্রমণাত্মক ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে এটি। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির একটি দলের নেতৃত্বে এই ওষুধটি আবিষ্কারের জন্য গবেষণা করা হয়েছিল। ওষুধটি আবিষ্কার করে গবেষকরা বলেছেন, এই ওষুধের মাধ্যমে তাদের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর গড় বেঁচে থাকার হার এক দশমিক ছয় মাস পর্যন্ত বাড়িয়েছে। জানা গেছে, মূলত মেসোথেলিওমার রোগীদের জন্য কাজ করবে নতুন ওষুধটি। গত ২০ বছরে এই প্রথম কোনো ওষুধ টিউমারের খাদ্য সরবরাহকে কমিয়ে মেসোথেলিওমার চিকিৎসায় সফলতার হার আরো বাড়িয়ে দেবে। ক্যানসার রিসার্চ ইউকে-এর পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ব্রিটেনে প্রতিবছর মেসোথেলিওমার প্রায় দুই হাজার ৭০০ নতুন কেস রয়েছে। এবং এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৪০০ জন মারা যায়।

সব মিলিয়ে মোট আক্রান্তের মধ্যে মাত্র দুই শতাংশ রোগী রোগ নির্ণয়ের পর আরো ১০ বছর বাঁচার আশা রাখতে পারেন। কুইন মেরির অধ্যাপক পিটার স্জলোসারেকের নেতৃত্বে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রত্যেক রোগী প্রতি তিন সপ্তাহে কেমোথেরাপি পেয়ে থাকেন। গবেষণা চলাকালীন মেসোথেলিওমা রোগীদের দু’ভাগে ভাগ করে নেয়া হয়েছিল। অর্ধেককে নতুন ওষুধ, ADI-PEG20 (Pegargiminase) এর ইনজেকশনও দেয়া হয়েছিল এবং বাকি অর্ধেকজনকে পুরনো ওষুধ প্লাসিবো দেয়া হয়েছিল। গবেষণার শেষ পর্যায়ে ৭০ বছর বয়সী প্লুরাল মেসোথেলিওমা আক্রান্ত প্রায় প্রায় ২৪৯ জন রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচটি দেশ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি এবং তাইওয়ানের ৪৩টি কেন্দ্রে এই গবেষণা করার পর এক বছরের জন্য ট্রায়ালে অন্তর্ভুক্ত রোগীদের স্বাস্থ্যের গতিবিধির ওপর খেয়াল রেখেছিল সংস্থা। এরপর সবটা নিরীক্ষণ করে প্রকাশিত হয়েছে একটি সমীক্ষা। জেএএমএ অনকোলজি জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, যারা প্লেসবো কেমোথেরাপি পেয়েছিলেন তারা সাত দশমিক সাত মাস বেঁচেছিলেন। আর যারা পেগারগিমিনেজ কেমোথেরাপি পেয়েছিলেন তারা গড়ে নয় দশমিক তিন মাস বেঁচে ছিলেন। মেসোথেলিওমা কী মেসোথেলিওমা হলো এক ধরনের ক্যান্সার যা শরীরের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আস্তরণ-প্রধানত ফুসফুসের আস্তরণকে ঢেকে রাখে। এটি সাধারণত অ্যাসবেস্টস এক্সপোজারের সঙ্গে যুক্ত।

মেসোথেলিওমার লক্ষণ এনএইচএস অনুসারে ফুসফুসের আস্তরণে মেসোথেলিওমার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে বুক ব্যাথা নিঃশ্বাসের দুর্বলতা ক্লান্তি (ভয়াবহ ক্লান্তি) শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা এবং ঘাম, বিশেষ করে রাতে অবিরাম কাশি ক্ষুধা হ্রাস এবং অব্যক্ত ওজন হ্রাস আঙ্গুলের ডগা ফোলা পেটের আস্তরণে মেসোথেলিওমার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে : পেটে ব্যথা বা ফুলে যাওয়া অনুভব করা বা অসুস্থ হওয়া খিদে হ্রাস এবং ওজন হ্রাস ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য