সাব্বির রহমান;; সোনালী সন্দ্বীপ ::
সন্দ্বীপে বেপরোয়া ভাবে চলছে চর কেটে মাটি বিক্রির হিড়িক, বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ রূপ নেয় দ্বীপের চারপাশ। প্রতি বছর মেঘনা নদীতে তলিয়ে যেত গ্রামের পর গ্রাম।
বিগত কয়েক বছরে সন্দ্বীপে চারপাশে মেঘনার কূল ঘেসে কয়েকমাইল নতুন চর জেগে উঠেছে। কিন্তু মাটি খেঁকো সেন্ডিকেটের বেপরোয়ায় বিলীনের পথে সন্দ্বীপের পুরাতন ভূমি জেগে ওঠা নতুন চর।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেও থামছে না মেঘনা নদীর পাড় থেকে মাটি কাটা। নদীপাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন হারিয়ে যাচ্ছে চাষিদের ফসলের জমি, অন্যদিকে লাগাতার পাড়ের মাটি কেটে নেয়ায় নদীতে পানি বাড়লেই দেখা দেয় ভয়াবহ ভাঙন।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, সন্দ্বীপের চারপাশে মেঘনার তীর থেকে এক্সেভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। প্রায় ৫ বছর ধরে চল নদীপাড়ের মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটায় ও পুকুর ভরাট কাজে। স্থানীয় প্রশাসনের চোখ এড়াতে রাতের অন্ধকারেও মাটি কাটছে একাধিক চক্র। বিশেষ করে পশ্চিম সাগর পাড়ে রহমতপুর ইউনিয়নে চলছে এই মাটি খেঁকো সিন্ডিকেট বেপরোয়া,।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাটিভর্তি শতাধিক ট্রাক্টর। সম্প্রতি তা বেড়েছে। আইন অমান্য করে বাদ যাচ্ছে না খাসজমি, খাল, নদীর তীর ও ফসলি জমি। এসব মাটির শেষ ঠিকানা হচ্ছে ইটভাটা। রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নাম ভাঙিয়ে একাধিক সিন্ডিকেট খনন যন্ত্র দিয়ে কাটছে নদীপাড়। নামসর্বস্ব কিছু গণমাধ্যমকর্মীও এই সিন্ডিকেটে জড়িত। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
নাম পরিচয় সহ এইসব ভূমিদস্যুদের বিস্তারিত থাকছে দ্বিতীয় পর্বে।