আজ রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
শুক্রবার, ০৮ মার্চ, ২০২৪   |   sonalisandwip.com

সোনালী সন্দ্বীপ নিউজ ডেস্ক ::

সন্দ্বীপ নদী সিকস্তি পুনর্বাসন সমিতির আহবায়ক কমিটির সভা গত ২৬ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর ওয়াপদা মোড়ের একটি অফিসে ও গত ১ মার্চ অন্য একটি ভার্চুয়াল সভা অধ্যাপক খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আহবায়ক কমিটির মোট ১১ সদস্যের মধ্যে ৯ জন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন খালেদ মাহমুদ, এ.কে.এম হুমায়ুন কবির চৌধুরী, মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন, মো. জহির উদ্দীন বাবর, মো.মিজানুর রহমান, আজমত আলী বাহাদুর, জসিম উদ্দীন তালুকদার, মুহাম্মদ মোস্তফা হায়দার এবং মোহাম্মদ আকবর মাষ্টার।

সভায় সদস্যবৃন্দ সমিতি পরিচালনায় আহবায়ক এবং সদস্য সচিবের সামগ্রিক কর্মকান্ড বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করেন। সন্দ্বীপ নদী সিকস্তি পুনর্বাসন সমিতি পরিচালনায় উক্ত দুইজনের অগনতান্ত্রিক,অস্বচ্ছ এবং সংগঠন পরিচালনায় ন্যূনতম শিষ্টাচার মেনে না চলায় নিম্নোক্ত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

০১) সমিতির আহবায়ক এবং সদস্য সচিব শুরু থেকেই সংগঠন পরিচালনায় ন্যূনতম গনতান্ত্রিক শিষ্টাচার অনুসরণ করেনি। আহবায়ক লন্ডনে বসে সদস্য সচিবের পরামর্শে আহবায়ক কমিটির মতামতের তোয়াক্কা না করে তুঘলকি কায়দায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন এবং তা সংগঠনের উপর চাপিয়ে দেন। সদস্য সচিব লন্ডনে অবস্থিত আহবায়কের অবর্তমানে আহবায়ক কমিটির মতামত ছাড়া ক্রমাগত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছেন, যা সংগঠনটিকে এই দুই ব্যক্তির পকেট সংগঠনে পরিনত করেছে।

০২) আহবায়ক এবং সদস্য সচিবের আহবায়ক কমিটির সদস্যদের তাগাদা দেয়া সত্বেও একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে অনীহা দৃষ্টিকটুভাবে সদস্যদের নিকট প্রতিভাত হয়েছে।

০৩) সমিতির তহবিল পরিচালনায় সদস্য সচিব ন্যূনতম স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন উসিলায় অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। আহবায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন ব্যক্তি থেকে অর্থ গ্রহণ, ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় signatory মনোনয়ন, ব্যাংক হিসাব থেকে একক সিদ্ধান্তে টাকা উত্তোলন করা, চাঁদার টাকা সমিতির তহবিলে জমা না দেয়া এবং কোষাধ্যক্ষকে অবহিত না করার গুরুতর অভিযোগ সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে রয়েছে।

০৪) এহেন পরিস্থিতিতে আহবায়ক কমিটির বৈঠকে গঠিত অডিট কমিটি সমিতির অফিস অডিট করে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দেখতে পায় এবং সুপারিশসহ একটি অডিট প্রতিবেদন আহবায়কের অনুমতিতে আহবায়ক কমিটির পেজে উপস্থাপন করে। কিন্তু প্রায় এক বৎসরের কাছাকাছি সময় অতিক্রান্ত হলেও আহবায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্বেও অডিট প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য কোন বৈঠক আহবান করা হয়নি।

০৫) উপরন্তু আহবায়ক কমিটিকে অবহিত না করে এবং তাদের মতামত ছাড়াই সমিতির তথাকথিত ঢাকা কমিটি গঠন করে এবং সন্দ্বীপে প্রতিনিধি সভা আহবান করে। যা আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্যদের অসম্মান এবং অবজ্ঞার সামিল বলে তাদের নিকট প্রতিভাত হয়েছে।

উপরোক্ত পর্যবেক্ষণের আলোকে আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ একমত হয়েছেন এহেন অগনতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ এবং 'পকেট কমিটি সূলভ' আচরণ দ্বারা সন্দ্বীপের আপামর নদী সিকস্তি মানুষের স্বার্থ সংরক্ষিত হতে পারে না, উপরন্তু উপরোক্ত দুই ব্যক্তির অস্বচ্ছ এবং অগনতান্ত্রিক আচরণের দায়ভার নদী সিকস্তি মানুষের উপর বর্তাচ্ছে।

তাই আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ সমিতির আহবায়ক জনাব শিব্বির আহমদ তালুকদার এবং সদস্য সচিব জনাব মনিরুল হুদা বাবনকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সভায় একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক খালেদ মাহমুদকে আহবায়ক এবং মো. মিজানুর রহমানকে সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) পদে মনোনয়ন প্রদান করা হয়।

আহবায়ক কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

-খবর বিজ্ঞপ্তির