ডা. কোরবান আলীর মৃত্যু আবার সামনে নিয়ে এল আমাদের শিশু -কিশোরদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ভয়াবহ দু:সংবাদ।
=অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ =
আজ কয়দিন কিশোর গ্যাং শব্দটি ব্যপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। বিশেষতঃ ডা. কোরবান আলীর কিশোর গ্যাং এর নির্মমতার শিকার হওয়ার পর এই আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এর ভয়াবহতা রোধে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এথেকে এর বিপদ সম্পর্কে কিছুটা আঁচ করা যায়।
আপনি আপনার এলাকায় খেয়াল করলে দেখতে পাবেন স্কুল যাওয়ার বয়সী শিশু-কিশোরেরা দলবদ্ধভাবে ঘুরাঘুরি করছে,পড়ার সময়ে রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছে, রাস্তায় প্রকাশ্যে সিগারেট ফুকাচ্ছে। এই বয়সীরা এমনিতেই একটু এডভেঞ্চার ভালোবাসে। কোন ঘটনার সুদূরপ্রসারী ফলাফল সম্পর্কে বুঝার বয়স তাদের হয়নি।
এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক ক্যাডারেরা পোষ্টার লাগানো, মিছিল করা, চাঁদা আদায় করা এবং কাউকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য এইসব শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করে। এলাকার বড় ভাইদের প্রশ্রয়ে এরা পিতামাতা, তাদের শিক্ষক এবং মুরুব্বীদেরকেও আর মানতে চায়না। সংগদোষে অনেকে মাদকাসক্তও হয়ে পড়ে।
খবর চাউর হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরোজ শাহ কলোনির এই নির্মমতার ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাং দু'টি দুইজন রাজনৈতিক বড় ভাইয়ের আশ্রয় -প্রশ্রয়ে গড়ে উঠেছে।
সবচেয়ে আতংকজনক বিষয় হলেও এলাকার লোকজন এদের অপরাধের বিষয়ে মূখ খুলতেও ভয় পায়। আমাদের শিশু-কিশোরেরা আমাদের ভবিষ্যৎ। এদেরকে অন্ধকারের জীবদের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে।
এই দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্ব, পিতা-মাতা, শিক্ষক এবং এলাকার মুরুব্বীরা এড়াতে পারেননা।বিশেষতঃ শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহারের অপসংস্কৃতি সর্বাগ্রে বন্ধ করা প্রয়োজন।
মনে রাখতে হবে আমার দ্বারা অন্যের সন্তান বিপদগামী হলে আমর সন্তানও এই সামাজিক অপঘাত থেকে রক্ষা পাবেনা।