আজ মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন
শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪   |   sonalisandwip.com
মাষ্টার ছায়েদুল হক ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা,আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

বাদল রায় স্বাধীন ;; সোনালী সন্দ্বীপ

সন্দ্বীপে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাষ্টার ছায়েদুল হক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে বর্নাঢ্য কলেবরে। পুরস্কার হিসাবে নগদ টাকা, সনদ ও মুল্যবান বই উপহার দেওযা হয়েছে।

কর্মসূচীর পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা ইউএসএ প্রবাসী বখতিয়ার উদ্দিন রানা ও মোঃ ইকবাল হায়দার।

মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরন উপলক্ষ্যে গত ১২ এপ্রিল সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া বাজার সংলগ্ন ফাউন্ডেশন কার্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিতা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফাউন্ডেশনের সভাপতি রিগ্যান চাকমা।

ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য রাখেন, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও মাষ্টার ছায়েদুল হক এর সন্তান রেজাউল করিম।

অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন, প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ রহিম মোহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম, ফখরুল ইসলাম পনির, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু হানিফ, মাষ্টার আবুল কাশেম শিল্পী,  সাংবাদিক মাষ্টার সাইফুল ইসলাম ইনসাফ, মাষ্টার মোঃ বেলাল উদ্দীন, মোছাদ্দেকুল মাওলা, আওয়ামীলিগ নেতা শাহেদ সারোয়ার শামীম, গুপ্তছড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের, মেধা বৃত্তি পরীক্ষা বোর্ডের সচিব মুঃ জহিরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।

সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক কবি ও গীতিকার কাজী শামসুল আহসান খোকন।

বক্তারা বলেন, মাষ্টার ছায়েদুল হক ছিলেন একজন আলোক বর্তিকা। তার বর্নাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি অনেক গুলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রেখেছেন। যে সমস্ত এলাকায় প্রতিষ্ঠান করেছেন এক সময় সেই সমস্ত স্থান ছিলো বখাটেদের আস্তানা। এখান সেখানে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। এছাড়াও অনেক শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীদের আইডল ছিলেন তিনি।

একজন ভালো সংগঠক ছিলেন বলে তিনি অনেকের কাছে ছিলেন প্রেরনার বাতিঘর। তিনি মৎস্য, সমবায়, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে ও অনেক কাজ করে তাদের সংগঠিত করেছেন, বিনা বেতনে পড়িয়েছেন অনেক ছাত্রকে, তিনি সহকর্মীদের বিপদে আপদে এগিয়ে আসতেন, তাদের সন্মানীত করতেন, ছাত্ররা স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে কেন অনুপস্থিত তার জন্য তাদের সুস্থতার খোঁজ নিতেন। তাই তিনি সবার কাছে প্রিয় আবু স্যার হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন ।

আজ তার নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনেক সেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছে তারই উত্তরসুরী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম। আমরা এই ফাউন্ডেশনের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।