আজ মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪   |   sonalisandwip.com
সন্দ্বীপের স্কুল ছাত্রী নাদিয়া গনধর্ষন ও হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

ইলিয়াছ সুমন ; সোনালী সন্দ্বীপ ::

সন্দ্বীপে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ৯ টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার নাজিরহাট কলেজ সংলগ্ন ভাঙ্গাপুল এলাকা হতে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍‍্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সুমন স্থানীয় সাবেক হরিশপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভাই ভাই গলির মোঃ ছিদ্দিকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সন্দ্বীপ থানার মামলা নং-০৩(০৯)১৫, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০। গত বছরের (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন স্কুল ছাত্রী নাদিয়াকে গনধর্ষনের পর হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন।

এ মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলো— মো. মোশাররফ হোসেন লিটন (২৫), মো. আকবর হোসেন ওরফে হাতকাটা আকবর (২৮), মো. নুরুল আবছার স্বপন (৩২)। ও মোঃ আবুল বশার। ৫ জনের মধ্যে বর্তমানে ৪ জন কারাগারে রয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার রহমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাদিয়া প্রতিদিনের মতো স্কুলে যায়। স্কুল শেষে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা স্কুল ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন।

পরের দিন দুপুরের দিকে এলাকার একটি ডোবায় ওই ছাত্রীর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ছাত্রীর মুখের বাম পাশে ও চোখের উপর ফোলা-থেঁতলানো ছিল।

এ ঘটনায় নাদিয়ার মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক। আসামি সুমন এতদিন পলাতক ছিলেন।