আজ রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪ || ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩   |   sonalisandwip.com
সন্দ্বীপে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কা

মো.হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি :: চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে টানা তিনবার নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা।

এমপি নির্বাচিত হয়েছেন দুই বার। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ভোটের বাতাস বইতে শুরু করেছে। বিএনপি ও সমমনা দলের অবরোধ-হরতালের কোন আভাস নেই এখানে।

দশম ধাপের অবরোধ-হরতালে কেবল একটি মামলা রুজু করেছে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ। যেখানে গাছুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে মামলা হয়।

আওয়ামী লীগের হয়ে ১২ জন মনোনয়ন নেয়। মনোনয়নের দৌড়ে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনায় ছিলেন মাহফুজুর রহমান মিতা, ডাঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী, জাফর উল্লাহ টিটু ও মিজানুর রহমান।

সবাইকে ছাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেলেন মাহফুজুর রহমান মিতা। ১৪ দলের শরিক দল জাসদ ও বর্তমান মিত্র দল জাতীয় পার্টি (জাপা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, সুপ্রীম পার্টিও এ আসনে মনোনয়ন নিয়েছে।

জাতীয় পার্টির পক্ষে মনোনয়ন বৈধ হয় হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালামের,জাসদের নুরুল আকতারেরও মনোনয়ন বৈধ হয়।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা.জামাল উদ্দিন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে থাকছেন নির্বাচনের মাঠে। তাঁরও মনোনয়ন বৈধ হয়।

২০০৮ সালে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন। অপরদিকে মাহফুজুর রহমান মিতা তখন ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। পুরোনো বিরোধ আবারো নির্বাচনী মাঠে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়া মেয়র জাফর উল্লাহ টিটু, মাইটভাঙ্গার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিবুল আহসান সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন লিটন,মগধরার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান খান শাহীন, সন্তোষপুরের সাবেক চেয়ারম্যান ফুলমিয়াসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট ডজনখানেক নেতা নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে।

সন্দ্বীপে ১৪ দলের শরিক দল এরই মধ্যে নৌকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। গুঞ্জন আছে জাসদের চাওয়া ৬ জনের তালিকায় আছে জাসদ মনোনীত প্রার্থী নুরুল আকতার এর নাম।

আর আওয়ামী লীগের কাছে কমপক্ষে ৭০টি আসনের নিশ্চয়তা চায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। নৌকার এ টিকিট প্রত্যাশীরা তাকিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দিকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু রাজনৈতিক সূত্র বলছে, দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে নির্বাচনে।

যেকোন সময় বিবাদমান গ্রুপের মধ্যে হয়ে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। দুই গ্রুপের অবস্থান শক্ত থাকায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছে না।

উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

এ বিষয়ে কমপ্লেক্স এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে বেশকিছু ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

তাঁরা আরও জানান, নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার ভয়ে উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকা সিসিটিভির আওতায় এনেছেন।

এরই মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।

আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম গতকাল বুধবার মাহফুজুরের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুরকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ অভিযোগটি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা.জামাল উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর এ অভিযোগ বিরোধকে আরও উস্কাকি দিয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্র।