অপু ইব্রাহিম :: সোনালী সন্দ্বীপ ::
সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ হাশেম। স্ত্রী ও দু্ই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। ভাড়ায় অটোরিক্সা চালিয়ে অভাব অনটনে সংসার চালিয়ে আসছেন হাশেম। সম্বল বলতে মাথা গোজার জন্য বসত ভিটা ছাড়া কিছুই নেই।
এদিকে পুত্রসন্তানহীন হাশেম এর বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী হওয়ায় ছোট মেয়েকে বিয়ে দিতে বন্দোবস্ত করলেও আর্থিক সংকটে পেরে উঠতে পারছিলেন না। এলাকার স্থানীয় এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি মানবিক সহায়তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর ভ্যারিফাইট ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে সন্দ্বীপের অনেক প্রবাসী বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন। অসহায় হাশেমকে সন্দ্বীপের আমানউল্লাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার ক্যাপ্টেন আজাদুর রহমান একটি অটোরিক্সা উপহার দেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার উপস্থিতিতে হাশেম এর হাতে চাবি তুলে দেয়া হয়। এছাড়া প্রবাসী ও বিত্তবানদের প্রেরিত অর্থ ৮০ হাজার টাকা হাশেম এর মেয়ের নামে কৃষি ব্যাংক সন্দ্বীপ শাখায় ডিপোজিট করে রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, হাশেম খুবই অসহায়ভাবে দিনতিপাত করছে। তার বাড়িতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। হাশেম এর সহায়তায় সন্দ্বীপের বিত্তবানরা যেভাবে এগিয়ে এসেছন তাতে আমি মুগ্ধ। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি হাশেম স্বাবলম্বী হতে পারবে।
অটোচালক মোঃ হাশেম বলেন, জীবনে কেউ আমাকে এভাবে সহযোগিতা করেনি৷ ইউএনও স্যারের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন আজাদ ভাই এর কাছ থেকে অটোরিক্সা পেয়েছি। মেয়ের বিয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা পেয়েছি। এ ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।