মাহবুবুল মাওলা রিপন ::
ঈদের নামাজ শেষ করে ফ্রেন্ডস টাওয়ারের ঐতিহ্য মতে আমরা প্রত্যেক ফ্ল্যাটে সবাই শুভেচ্ছা বিনিময় শেষ করে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছিলাম। প্রত্যেক বাসায় রকমারি আপ্যায়নে ঈদের আমেজ শতভাগ উপভোগ করে একেবারে ক্লান্ত।
এমনি সময়ে হায়দার ভাইয়ের ফোন। রিপন ভাই বাসায় আছেন। জীঁ ভাইজান আছি। আপনি কোথায় ? জবাব দিলেন হালিশহর বাসস্ট্যান্ডে। আমার বাসার ঠিকানা নিয়ে বললেন বাসায় আসছি।
৮০ দশক থেকে আমরা সন্দ্বীপে একই স্কুলে পড়াশোনা করছি। তিনি তখন দশম শ্রেণিতে, আমি অষ্টম।
সব্যসাচী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হায়দার ভাই স্কুলের সকল অনুষ্ঠানে বেশ জমিয়ে রাখতেন। আমি ও তার উত্তোরসুরি হয়ে পাশাপাশি থাকতাম। তারপর চট্টগ্রাম কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা বেশ সুনামের সহিত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে মাতিয়ে রেখেছিলেন।
বিশেষ করে নাকে গিটার বাজিয়ে গানের সুর তোলার অসাধারণ প্রতিভার কথা কে না জানে।
এদিকে হায়দার ভাইয়ের গ্রাম আর আমার গ্রাম ও পাশাপাশি। চাকরির সুবাদে দুইজন বিচ্ছিন্ন থাকলেও ফোন আলাপ হত আমাদের।
আমি লিফটের পাশে দাঁড়িয়ে আছি হায়দার ভাইয়ের জন্য। একটু পরে তাকে রিসিভ করে আমার ফ্ল্যাট নিয়ে আসলাম।
তিনি এবার সিজারিং শুরু করলেন, এ ভবন কখন তৈরি হল, কিভাবে হল, কারা কারা থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি উত্তর দিয়ে যাচ্ছি জীঁ হাঁ, জীঁ না করে।
আমাদের আলোচনা বেশ জমে উঠেছিল। হঠাৎ তিনি বলে উঠলেন, রহিম ভাইকে দেখছি অনেক দিন। আমি বললাম, সবাইকে ডাকছি। তারপর এক এক করে ড. আব্দুর রহিম, ড. মোসলেম উদ্দীন মুন্না, ড.ফয়সল চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল হাসেম আসলেন। এবার সকলে দেশ জাতি বিশ্ব পরিস্হিতি নিয়ে জমপেশ আড্ডায় মত্ত হলেন। সাথে অতীত দিনের স্মৃতি কথন।
প্রায় ঘন্টা দুই আলোচনা চলে।
দীর্ঘদিন পর হায়দার ভাই আমাদের সাথে বেশ মনন দিয়ে কথা বললেন। সত্যি এ সময়টা ছিল আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। ভালবাসায় দীর্ঘ হায়াত নিয়ে ভালো থাকুন হায়দার ভাই এ দোয়া কামনা করছি।
লেখক : সাংবাদিক, কবি, লেখক ও বীমা ব্যক্তিত্ব