আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ || ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪   |   sonalisandwip.com
সন্দ্বীপে একটি ঘর পাওয়ার আকুতি বিধবা ও সন্তান বিহীন নাজমার

ইলিয়াছ সুমন :: সোনালী সন্দ্বীপ

বাসস্থান মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি। যার বাসস্থান নেই তার জন্য মনে পড়ে পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের এ আসমানী কবিতা তিনি রসুলপুরের আসমানীদের ছোট্ট বাড়ি সম্পর্কে এভাবে বর্ণনা দিয়েছেন “বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।

সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সিংগার গৌ বাড়ির মতিউর রহমানের মেয়ে অসহায় বিধবা ও নিঃসন্তান নাজমা বেগম। ৫৫ বছর বয়সী নাজমার স্বামী মারা গেছে প্রায় এক যুগ আগে। নেই কোন ছেলে মেয়ে।

গত ১০ বছর যাবৎ বসবাস করেছেন বাবার দেয়া এক কড়া জমিতে, চলেন ভিক্ষা বৃত্তি করে কোন রকম দিন পাড় করছেন। সারাদিন বাজারে বাজারে হেটে যা আয় করছেন তা দিয়ে বাবার ভাঙ্গা চোড়া ঘরে থেকে জীবন যাপন করছেন।

গত পাঁচ বছর আগে বাড়ির দরজায় নাজমার জন্য তার বাবা এক কাঠা জমি দিয়েছেন। তাতে তার সামথ্যা না থাকায় ঘর করতে পারছেন না।

তিনি সমাজের বিত্তবান দের কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন। তার বাড়ির চারপাশ খোলা থাকলেও নেই কোনো স্যানিটেশনের ব্যবস্থা। ফলে মানবেতর জীবন-যাপনকরছেন বিধবা নাজমা বেগম।

এদিকে বিধবা নাজমার বয়স ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে আগের মত অন্যের বাড়িতে কাজ করতে পারে না। আসুন আমরা মাথা গোঁজার ঠাইয়ের জন্য নাজমার মত অসহায় মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়াই।

কারণ আসমানীদের যদি ছোট্ট পাখির বাসার বাড়ি ছিল তা দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়তো, কিন্তু নাজমার সে ছোট্ট পাখির বাসার ঘর টি ও নেই। যা মাথা গোজাবে।