আজ রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ || ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪   |   sonalisandwip.com
কাউন্সিলর মোঃ জহুরুল আলম জসিম তৃণমল রাজনৈতিক কর্মীদের  কাছে একটি  আদর্শের  শক্তি 

 আবদুল হান্নান হীরা (চট্টগ্রাম) :: সোনালী সন্দ্বীপ । ।  
১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যখন চলছিল তখন সে সময় চট্টগ্রামের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শ্রমিক নেতা একেএম আবিউল হক। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তারই সন্তান জহুরুল আলম জসিম।

যিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রথম সারির একজন ছাত্রনেতা। ১৯৯১ নির্বাচনের পর তার উপর নেমে আসে নির্যাতন, নিপীড়ন ,মিথ্যা মামলা ও জেলজুলুম এর খড়গ কারন পাহাড়তলী এলাকা ছিল বিএনপি অধ্যুষিত (মিনি পাকিস্তান)  এলাকা। সবাই যখন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল করত। এই চরম দুঃসময়ে উত্তর পাহাড়তলীর ছাত্রলীগের রাজনীতির ঝান্ডা জসিম ভাই তুলে নিয়ে  হয়ে ছিলেন ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

২০০১সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার বিরুদ্ধে হতে থাকে একের পর এক মামলা। ২০০৩ সালে মাত্র ৩৪বছর বয়সে দলের প্রতি তার একনিষ্ঠতার কারনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।

২০০৪ সালে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় তিনি আহত হয়ে হাসপাতালে থাকাকালীন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হন। হাসপাতালের বেডে একজন মুমূর্ষু রোগীকে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেফতার করা হয় তখন সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

২০০৫ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

১/১১ সরকারের শুরুর দিকে চট্টগ্রামে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মধ্যে জসিম আলহাজ্ব মোঃ জহুরুল আলম জসিম  অন্যতম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর ড্রয়িং রুমের রাজনীতিবিদদের আবির্ভাব হয়। তারা বিভিন্ন উপায়ে জহুরুল আলম জসিম ভাই  কে কোনঠাসা করার চেষ্টা করে।

২০১০ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি দলের ভেতরের ষড়যন্ত্রের কারণে পরাজিত হন ।  কিন্তু ২০১৫ সালে তৃনমুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৯১ থেকে এই ওয়ার্ডে বিএনপি আওয়ামী লীগ দুদলের অনেক নামীদামী মানুষ কমিশনার হয়েছেন তখন রাস্তাঘাট,নালানর্দমা , স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দির কতটা অবহেলিত ছিল তা এখানকার বাসিন্দারা জানেন।

২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায়  ৩০০ কোটি টাকার  উন্নয়ন করেছে এবং  আজ অবধি  উন্নয়ন কাজ  চলছে ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তায়,নালায় তিনি কাজ করিয়েছেন, অবহেলিত এলাকার মসজিদ নির্মাণ, মাদ্রাসা , স্কুল,কলেজ উন্নয়নে প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে নিয়ে কাজ করছেন। এই এলাকার দীর্ঘদিনের
 পানি সংকট নিরসনে কাজ করছেন। আধুনিক নান্দনিক মডেল  ওয়ার্ডের রুপকার  আলহাজ্ব মোঃ জহুরুল আলম জসিম। উওর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যেটি ছিল বিএনপির দুর্গ সেখানে আজ এত এত আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী কার অবদান। তিনি একজন জহুরুল আলম জসিম। যার অসংখ্য ত্যাগের বিনিময়ে আজকের আওয়ামী লীগের এই অবস্থান।

প্রিয়নেতা মোঃ জহুরুল আলম জসিম এর বিরুদ্ধে হাইব্রিড কাউয়া-রা ড্রয়িং রুমে বসে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। নিজের জীবন বাজি রেখে সাধারণ গরীব দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া একজন জহুরুল আলম জসিমকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের মাটি জসিম ভাইয়ের খাটি, জসিম তুমি জনতার তোমায় রুখে  সাধ্যকার।